দ্বীনের জন্য যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে নিয়ত সহীহ হওয়া, সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়া যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি কাজটার ব্যাপারে আকীদা অর্থাৎ concept ঠিক হওয়া। অর্থাৎ যে কাজটা আমি করছি, শরীয়তের দৃষ্টিতে এটার অবস্থান কোথায়, এর গুরুত্ব কতটুকু?
দুটি সহজ উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন কেউ একেবারে নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ে। জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত, সেই সাথে সমস্ত সুন্নত, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন; তাহাজ্জুদেও উঠে পরে প্রায় রাতেই। এবং সে এই নামাজ আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্যই পড়ে। কিন্তু সে মনে করে, এসব নামাজ আসলে না পড়লেও চলে। জামাত ছেড়ে দিলেও চলে, মাঝে মাঝে কাযা করেও চাইলে পড়া যায়! তো সে নিজে নামাজের পাবন্দী করছে ঠিকিই, কিন্তু নামাজের ব্যাপারে তার concept ঠিক নেই। এবং এই ভুল আকীদার কারণে তাকে জবাবদিহিও করতে হবে। শুধু নামাজ পড়লেই চলবে না, ফরজ নামাজকে ফরজ, সুন্নতকে সুন্নত জানতে হবে। আদায়ের লাভ জানতে হবে, ছেড়ে দেয়ার ক্ষতি বুঝতে হবে।
এতো গেলো এক দিকের ভুল। অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ কোনো জিনিসের সঠিক গুরুত্ব অনুধাবন না করা। এবার উল্টোদিকটাও দেখা যাক।
ধরুন কেউ হাফেজ হলো অনেক পরিশ্রম করে। সে কুরআনের একজন সংরক্ষক, কত মর্যাদার ব্যাপার! সেই সাথে সে এখন মাদ্রাসাতেও হিফযের উস্তাদ। ছোট ছোট ছাত্ররা তার হাত ধরে কুরআনের হাফেজ হচ্ছে। কত লাভজনক ব্যবসা! কিন্তু এই হাফেজ ভাই যদি ভেবে বসেন, কুরআনে হাফেজ হওয়া ফরজে আইন! যারা হেফ্জ করেনি, বা করার চেষ্টা করছে না, তারা সবাই ফরজ তরক করছে। যারা হিফযের জন্য সময় দিচ্ছে না, তাদের তো ইলমই নাই, তাদের ঈমানই অপূর্ণ! নিঃসন্দেহে এরকম ধ্যান ধারণা সম্পূর্ণ মূর্খতা। কুরআনে হাফেজ হওয়া অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ, হাফেজরা আল্লাহ'র কাছে কতই না প্রিয়। কিন্তু তাই বলে এই কাজকে ফরজ মনে করা, যারা হিফজ করেনি তাদেরকে ঈমান-ইলম হতে খালি মনে করা স্পষ্ট গোমরাহী। আর এজন্য এই ব্যক্তিও প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন।
সুতরাং দ্বীনের প্রতিটা কাজ, ছোট থেকে বড়, সঠিক ইলমের সাথে করতে হবে। সঠিক ইলমের ভেতরে একদিকে আছে সঠিক পদ্ধতি, আরেকদিকে সঠিক ধারণা। আর এই ইলম তো কেবল শেখা যাবে ইলমের ধারক-বাহকদের থেকেই!
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
দুটি সহজ উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন কেউ একেবারে নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ে। জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত, সেই সাথে সমস্ত সুন্নত, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন; তাহাজ্জুদেও উঠে পরে প্রায় রাতেই। এবং সে এই নামাজ আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্যই পড়ে। কিন্তু সে মনে করে, এসব নামাজ আসলে না পড়লেও চলে। জামাত ছেড়ে দিলেও চলে, মাঝে মাঝে কাযা করেও চাইলে পড়া যায়! তো সে নিজে নামাজের পাবন্দী করছে ঠিকিই, কিন্তু নামাজের ব্যাপারে তার concept ঠিক নেই। এবং এই ভুল আকীদার কারণে তাকে জবাবদিহিও করতে হবে। শুধু নামাজ পড়লেই চলবে না, ফরজ নামাজকে ফরজ, সুন্নতকে সুন্নত জানতে হবে। আদায়ের লাভ জানতে হবে, ছেড়ে দেয়ার ক্ষতি বুঝতে হবে।
এতো গেলো এক দিকের ভুল। অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ কোনো জিনিসের সঠিক গুরুত্ব অনুধাবন না করা। এবার উল্টোদিকটাও দেখা যাক।
ধরুন কেউ হাফেজ হলো অনেক পরিশ্রম করে। সে কুরআনের একজন সংরক্ষক, কত মর্যাদার ব্যাপার! সেই সাথে সে এখন মাদ্রাসাতেও হিফযের উস্তাদ। ছোট ছোট ছাত্ররা তার হাত ধরে কুরআনের হাফেজ হচ্ছে। কত লাভজনক ব্যবসা! কিন্তু এই হাফেজ ভাই যদি ভেবে বসেন, কুরআনে হাফেজ হওয়া ফরজে আইন! যারা হেফ্জ করেনি, বা করার চেষ্টা করছে না, তারা সবাই ফরজ তরক করছে। যারা হিফযের জন্য সময় দিচ্ছে না, তাদের তো ইলমই নাই, তাদের ঈমানই অপূর্ণ! নিঃসন্দেহে এরকম ধ্যান ধারণা সম্পূর্ণ মূর্খতা। কুরআনে হাফেজ হওয়া অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ, হাফেজরা আল্লাহ'র কাছে কতই না প্রিয়। কিন্তু তাই বলে এই কাজকে ফরজ মনে করা, যারা হিফজ করেনি তাদেরকে ঈমান-ইলম হতে খালি মনে করা স্পষ্ট গোমরাহী। আর এজন্য এই ব্যক্তিও প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন।
সুতরাং দ্বীনের প্রতিটা কাজ, ছোট থেকে বড়, সঠিক ইলমের সাথে করতে হবে। সঠিক ইলমের ভেতরে একদিকে আছে সঠিক পদ্ধতি, আরেকদিকে সঠিক ধারণা। আর এই ইলম তো কেবল শেখা যাবে ইলমের ধারক-বাহকদের থেকেই!
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।